• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    অনন্যা শীর্ষদশ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত।নারী শক্তিতে দেশ এগিয়ে যাবে : স্পিকার

    জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, নারী শক্তি নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকের অনন্যা বিজয়ীদের অদম্য চেতনার মাধ্যমে এটি দেখা যায়। তিনি বলেন, নানা প্রতিকূলতা, চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজকের অনন্যারা নিজ নিজ ক্ষেত্রে শীর্ষে অবস্থান করছে।

    শনিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘অনন্যা শীর্ষদশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পাক্ষিক অনন্যা ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন।

    ডাঃ শিরীন শারমিন চৌধুরী আরো বলেন, সারা বিশ্বে নারীরা কাজ করছে। আমরা তাদের কতটা সম্মান করতে পারি। এই জায়গা থেকে অনন্যার এই উদ্যোগ বিরল। ২০১৩ সালে অনন্যা বিজয়ী ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজকের অনন্যা বিজয়কে বলেন, তোমার আলো, তোমার আলো, জয় করো এই তমসির।

    এ বছর ‘অনন্যা শীর্ষদশ ২০২১’ সম্মাননা পেয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব বিটপি দাশ চৌধুরী, মঞ্চ অভিনেতা ও পরিচালক ত্রিপা মজুমদার, অদম্য সাহসী শাহিনুর আখতার, বিজ্ঞানী সালমা সুলতানা, প্রযুক্তিবিদ রুদমিলা নওশীন, আলোকচিত্রী শাহরিয়ার ফারজানা, মার্শাল আর্ট অনুশীলনকারী সান্ত্বনা রনি, নারী শিল্পী মো. ইছমত আরা এবং প্রথম ফিফা রেফারি জয়া চাকমা। এ বছর পোশাক তৈরি করে সাড়া জাগানোর জন্য অনন্যা আজীবন সম্মাননা পান শরৎ মালা চাকমা। প্রত্যেক বিজয়ীকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আজীবন সম্মানী টাকা।

    শরৎ মালা ৯০ বছর আগে রাঙামাটির তবলছড়ির মাস্টার কলোনিতে জন্মগ্রহণ করেন। পোশাকের কারুকাজ করে দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত তিনি। ২০১৬ সালে, তিনি তাঁত উৎসবে একটি বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শরৎ মালা বলেন, নারীদের পিছিয়ে থাকা উচিত নয়।

    তাসমিমা হোসেন বলেন, দেশের নারীরা এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের নারীদের আগে গুরুত্ব দিতে হবে। এখন নারীদের সম্মান দিতে অনন্যার মতো অন্যান্য সংগঠনেরও এগিয়ে আসা উচিত।

    অনুভূতি প্রকাশ। নাজনীন আহমেদ বলেন, এক বছরের শিশুকে রেখে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়েছিলাম। আমি একজন নিষ্ঠুর মা। কিন্তু আমি এটা তাদের ভালো জীবনের জন্য করেছি। বিয়ের পর অনেক মেয়েই তাদের পথে বাধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু সেজন্য আপনার ফিরে যাওয়া উচিত নয়।

    আলোকচিত্রী শাহরিয়ার ফারজানা বলেন, কোনো নারীর জীবনই মসৃণ নয়। তাদের লড়াই করে জিততে হবে।

    এ বছর উদ্যোক্তা হিসেবে অনন্যার শীর্ষ দশে নিজের নাম যোগ করছেন মোছাম্মত ইছমত আরা। তার প্রচেষ্টায় গ্রামের শত শত নারী দারিদ্র্যের কবল থেকে উঠে এসেছে। তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের কথা বলেন।

    মন্তব্য করুন