• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    মিতুর মৃত্যুর পরে বাবুল আক্তার ৩ বিয়ে করেন

    মাহমুদা খানম মিতু হত্যার পর তার স্বামী প্রাক্তন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার আরও তিন বিয়ে করেন। এদের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে,এবং বর্তমানে তিনি একজনের সাথে সংসার করছেন। বুধবার মিতুর মা শাহিদা মোশাররফ তার মোবাইল ফোনে এই তথ্য জানান।

    শাহিদা মোশাররফ বলেন “মিতু মারা যাওয়ার আগে গায়ত্রী নামে এক নারীর বাবুলের সাথে সম্পর্ক ছিল। পরে মিতু জানতে পেরেছিল। কেবল গায়ত্রীই নয়, আরও কয়েকজনের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। মিতুর মৃত্যুর পরে তিনি তিনজনকে বিয়ে করেন।

    মিতুর মা বলেন, “মিতুর মৃত্যুর পরে বাবুল যেভাবে ভেঙে যাওয়ার অভিনয় করেছিল তা নিয়ে আমরা আফসোস করি।” তবে ধীরে ধীরে তার সমস্ত অভিনয় ফাঁস হয়ে গেল। কারণ মিতুর মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই বাবুল একটি মেয়েকে বিয়ে করেন।  তাঁর সাথে ঢাকার মগবাজারে আড়াই বছর ধরে সংসার করেন।এরপর  মেয়েটি তাকে ছেড়ে চলে যায়।

    শাহিদা মোশাররফ বলেন, “তারপরে খুলনার একটি মেয়ে বাবুলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বাবুল তার সাথে তিন মাস মোহাম্মদপুরে থাকে। তারপরে সেও মেয়েটির সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।

    তিনি বলেন, “মিতুর মৃত্যুর পরে বাবুল দু’বার বিয়ে করেও থামেনি। কয়েক মাস আগে তিনি কুমিল্লার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীকে বিয়ে করেন। তার সাথে সংসার করছিল মোহাম্মদপুরের বাসায় থেকে।

    শাহিদা মোশাররফ বলেন, এ ছাড়াও ঝিনাইদহের একজন এসআই-র স্ত্রীর বাবুল আক্তারের সাথে সম্পর্ক ছিল। শাহিদা মোশাররফ বলেন যে বাবুল মিতুর ছোট বোনের দিকেও কুনজর দিয়েছিল।

    মিতুর মা বলেন সব কিছু জানার পরেও আমি মিতুর দুই ছোট বাচ্চা নিয়ে এতদিন কিছু বলিনি। তবে বাবুল আমার দুই নাতি নাতিকে আমাদের থেকে দূরে রেখেছেন। তাদেরকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।

    দেশের গণমাধ্যম এবং আইন প্রয়োগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মিতুর মা বলেন, “পুলিশ ও মিডিয়া আমার মেয়েকে বিচারের  আনার জন্য যেভাবে কাজ করছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, আমার মেয়ের আসল ঘাতককে আদালতে চিহ্নিত করা হবে এবং তাকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে। ‘

    এদিকে, মিতুর বাবার করা মামলায় বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে নিয়েছে পিবিআই। বাবুল আক্তার ছাড়াও এই মামলায় সাতজন আসামি রয়েছেন।

    ৫ জুন, ২০১৬ তে, মাহমুদা খানম মিতু চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ের নিকটে ওআর নিজাম রোডে তার ছেলেকে স্কুল বাসে তুলতে গিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। ঘটনার পরে বাবুল আক্তার বাদী হয়ে তিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

    মন্তব্য করুন