• বাংলা
  • English
  • অর্থনীতি

    পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে এফবিআইসহ দুদক মাঠে

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের গত ১৭ বছরে পাচারের পরিমাণ প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। এখন সেই টাকার সন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর এ কাজে দুদককে সহযোগিতা করছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) একটি দল বাংলাদেশে আসছে।

    সোমবার, এফবিআই লিগ্যাল অ্যাটাশে রবার্ট ক্যামেরন এবং সুপারভাইজরি স্পেশাল এজেন্টদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দুদকের মানি লন্ডারিং এবং আইনি শাখার মহাপরিচালকের সাথে দেখা করবে।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন মহাপরিচালক বলেন, “মানি লন্ডারিং রোধে দুদক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছে। পাশাপাশি পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে আমরা সফলতা পেয়েছি। আমরা মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে এফবিআইকে অবহিত করব।

    তিনি বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সংস্থার কোনো সহায়তা নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে কথা হবে। এছাড়া যৌথ টাস্কফোর্স নিয়েও আলোচনা হতে পারে। দুদক এফবিআই সহ বিভিন্ন বিদেশী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে।

    এদিকে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

    তিনি বলেন, ‘টাস্কফোর্সের কাজের পদ্ধতি কী হবে, কারা থাকবেন, সে প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এই টাস্কফোর্স কয়েকদিনের মধ্যে দৃশ্যমান হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কারের জন্য একটি পৃথক টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

    আরও জানা যায়, সরকারের বিশেষ টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইত্যাদির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।