• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ঢাকা সফরে চীনের বিশেষ দূত ।নির্বাচনের আগে পাইলট প্রত্যাবাসন সফল করতে আলোচনা

    চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয় বেইজিং। তারা বর্ষা মৌসুমের আগেই পাইলট প্রত্যাবাসন সফল করতে চেয়েছিল। তবে সব আয়োজনের মাঝেই নড়েচড়ে বসেছে রোহিঙ্গারা। বর্ষা শেষে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের আগে পাইলট প্রত্যাবাসন সফল করতে চায় বেইজিং।

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল করতে চীনের এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত ডেং সিজুন গত রোববার ঢাকা সফর করেন। তিন মাস আগে নীরবে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। এবারও প্রত্যাবাসন নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠক করেন তিনি।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চীন এই অঞ্চলে সাফল্য দেখাতে চায়। ইরান ও সৌদি আরব দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের কূটনীতির সাফল্য দেখাতে চায়, যা তারা দেখিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। দক্ষিণ এশিয়ার ওপর, বিশেষ করে ইন্দো-প্যাসিফিককে ঘিরে পশ্চিমাদের ক্রমবর্ধমান চাপের কারণে, এখানকার বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো কূটনীতিতে চীনের সাফল্য দেখতে চায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সেই সাফল্য আনতে পারে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশও চায় যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। প্রত্যাবাসন পাইলট প্রকল্প সফল হলে, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে, তাহলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এগিয়ে থাকবেন পদাধিকারীরা। বাংলাদেশে আসার আগে চীনের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমার সফর করেন। মিয়ানমারও প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছে।

    মিয়ানমারের সরকারী মুখপত্র নিউ গ্লোবাল লাইট জানিয়েছে যে গত শুক্রবার চীনের বিশেষ দূত দেং সিজুন মিয়ানমারের সামরিক কমান্ডার সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেংয়ের সাথে দেখা করেছেন। আলোচনায় তারা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনের সহযোগিতার পাশাপাশি রাখাইন ছেড়ে যাওয়া ‘প্রবাসীদের’ ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেন।

    এদিকে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, মিয়ানমারে অনুকূল পরিবেশ নেই। এ কারণে তারা প্রত্যাবাসনের বিরোধিতা করে আসছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগকে অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে, এটিকে ‘প্রতারণামূলক এবং জোরপূর্বক পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে।